১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • কৃষি সংবাদ
  • সুনামগঞ্জের হাওরে এখনও বীজতলা তৈরি করেনি, পানি নিষ্কাষণ বিলম্বিত হলে চাষাবাদ বিলম্বিত




সুনামগঞ্জের হাওরে এখনও বীজতলা তৈরি করেনি, পানি নিষ্কাষণ বিলম্বিত হলে চাষাবাদ বিলম্বিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ০৮ ২০১৯, ১০:৫২ | 841 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

সুনামগঞ্জের হাওরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল ও বৃষ্টিপাতের পানি এখনো কমছে না। একারণে এবার বোরো চাষাবাদ বিলম্বিত হতে পারে।

কৃষকরা বলেছেন, হাওরের পানি দেরিতে নামায় বীজতলা তৈরির সময় পিছিয়ে গেছে। জমিতে পানি থাকায় তারা জেলার বিভিন্ন হাওরে বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। চাষাবাদ বিলম্বিত হলে ধান পাকার মৌসুমে ফসল তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষকরা জানান, জেলার দিরাইয়ের কালিয়াকোটা, বরাম, সদরের দেখার হাওর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওর, দোয়ারাবাজার উপজেলার হানলার হাওর, তাহিরপুরের শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর এবং শাল্লা নেত্রকোণার খালিয়াজুরির ছায়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে থই থই করছে পানি। হাওরের পাড় ভাসেনি এখনো। নদীর পানি বেশি থাকায় এই অবস্থা। সময় মতো চাষাবাদ হবে কী না এ নিয়ে শঙ্কিত কৃষক।

অন্যদিকে হাওর সংলগ্ন সবকটি নদীর পানির উচ্চতা এখনো হাওরের তলদেশের অনেক উপরে। এ কারণে হাওরের পানি নিষ্কাষণ বিলম্বিত হচ্ছে। জেলায় বড় হাওরপাড়ের কৃষকরা এখনো বীজতলা তৈরির উদ্যোগ নেননি। পানি নিষ্কাষণ বিলম্বিত হলে চাষাবাদ বিলম্বিত হবে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ব্যাহত হতে পারে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, হাওর অধ্যুষিত জেলায় বোরো মৌসুমে এবার দুই লাখ ১৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বোরো আবাদ ১৫ থেকে ২০ দিন পিছিয়ে যাওয়ায় আগাম বন্যা ও ফসল রক্ষা বাঁধ ভাঙলে জেলার বোরো ধান ঝুঁকির মুখে থাকবে। এমতাবস্থায় জমিতে আগাম জাতের ধান রোপণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।

পাগনার হাওর পাড়ের কৃষক আকবর হোসেন বলেন, ‘জমিতে পানি থাকায় এখনো গরু বাঁধের উপরে রাখা হয়েছে। কেউ এখনও জেলার বিভিন্ন হাওরে বীজতলা তৈরি করেনি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এবছর হাওরের পানি ধীরগতিতে নামছে। হাওরের পানি বিলম্বে নামার কারণে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর হাওরের বীজতলা ১৫ দিন পিছাবে। বোরো মৌসুমের শেষের দিকে আগাম বন্যা ও হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভাঙন দেখা দিলে আবাদকৃত ফসল ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা আগাম জাতের ধান (ব্রি ধান ২৮) আবাদ করার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ও অসময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে হাওরের পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি নামতে একটু দেরি হচ্ছে। গত বছর নভেম্বরের ৩০ তারিখ সুরমা নদীর পানি এবছরের চাইতে ১ মিটার কম ছিল। সেক্ষেত্রে পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাওরের পানি নেমে যাবে।’

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

 

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET