খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ১১ মাইলের মাহবুব নগর এলাকায় আলী আকবর ভুঁইয়ার বিশাল বাগানের মূল্যবান গাছ জোতের কাগজপত্র দেখিয়ে কেটে অন্যত্র পাঁচারের মহোৎসবে নেমেছে কাঠ পাচারকারী চক্র।
বুধবার সকাল ১১টায় কাঠ পাঁচারের উদ্দেশ্যে ট্রাক বোঝাই করা হলে সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গেলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। যার গাড়ী নাম্বার (ফেনী ট-১১-০৭৯৪)।স¤প্রতি কয়েক ধাপে (পিরোজপুর ড ১১-০৩৪১) ট্রাকে করেও একই স্থান থেকে কাঠ পাঁচার করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রামগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ তমিজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা জোত পারমিটের কাজ করেছে।আমি গত জুলাই মাসে যোগদান করেছি। অনিয়মের বিষয়টি অবগত হয়েছে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জোত পারমিটের মালিক জানান,কিছুদিনে আগে একটি জোত পারমিট করেছিলাম।যাহাতে বিভিন্ন জাতের কাঠ ছিল তাতে পরিমানে কম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাছের সংখ্যা পরিমানে বৃদ্ধি করে জোত পারমিটের কাগজপত্র দেখানোর ফলে বাহির থেকে বাগান কিনে টিবি ও ছাড়পত্রের সাথে সমন্বয় করে কাঠ গুলো নিতে হচ্ছে। যার ফলে অসৎ উপায় অবলম্বন করতে হচ্ছে। এছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। কারন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি তা পুসিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, জালিয়াপাড়া পার্শ্ববর্তী রামগড় উপজেলার মাহবুব নগর সড়কের দক্ষিণ পাশে প্রায় ৫ একর জায়গার উপর একটি জোত পারমিট করলেও উক্ত জোতে সকল জাতের কাঠ গুলো ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমতলে নিয়ে গেলে উক্ত জোতের পুনরায় অতিরিক্ত মার্কিং করায় বিভিন্ন জাতের মূল্যবান কাঠ আলী আকবর ও মাহবুব আকবরসহ ভিন্ন বাগানে মোটা অংকে টাকা দিয়ে বাগান গাছ ক্রয় করে কাঠ গুলো গাছ কেটে জাল-জালিয়াতীর মাধ্যমে কাগজ(জোত পারমিট) দেখিয়ে বন বিভগের যোগসাজেসে এ সকল মূল্যবান কাঠ পাঁচার করে চলেছে।
এর সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় একটি মহল।অবৈধ ভাবে জোত পারমিটের নামে জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে সৃজনকরা টিবি বা দেওয়া ছাড়পত্রের সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
পূর্বের জোত পারমিট করা স্থান ও বর্তমান অবৈধ ভাবে গাছ কেটে পাচারের স্থান ভিন্ন। এ বিষয়ে বন বিভাগের উদ্বেতন কর্তৃপক্ষ দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অবৈধ কাঠ পাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং দুর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।