গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে গত সোমবার সকালে (২৩-১১-২০) এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় হত্যাকান্ড, পুলিশ এসল্ট ও লুটপাটের পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার সকালে এবাদুল ফকির বাদি হয়ে ৮৪ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত করে তিন হত্যায় একটি ও পুলিশ এসল্ট ঘটনায় এসআই সালাম বাদি হয়ে ৩৮ জনের নাম ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত করে অন্য একটি এবং লুটপাটের ঘটনায় শুক্রবার হাওয়া বেগম বাদি ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত করে আরও একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। এ তিনটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া।
উল্লেখ্য গত সোমবার (২৩-১১-২০) সকাল ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুলের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত কালাম শেখকে (২৫) ওইদিন রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় আহত কালাই ফকির ও সাহিদ মোল্লাসহ ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাই ফকির (৪৫) ও রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিদ মোল্লার (৪০) মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দফায় দফায় বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে । এসময় পুলিশ দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিহত করতে গেলে সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল বাসার ও এসআই সালামসহ ৭জন পুলিশ আহত হয় ।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা, পুলিশ আহত ও লুটপাটের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।