রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় করোনা আতঙ্কের গুজব ছড়িয়ে ও প্রশাসনিক ভাবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেপরোয়া ভাবে সব ধরনের চাল প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশিতে বিক্রি করছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রয় মতার ভেতরে না থাকায় চরম ভাবে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ জনেরা।
চালের এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন উপজেলার তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভা হাটের কয়েকজন ক্ষুদ্র চাল বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের প থেকে চালের আড়ঁতদার,মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হলেও প্রতিদিনই বাগমারা উপজেলার
তাহেরপুর,ভবানীগঞ্জ,মোহনগঞ্জ,হাটগাঙ্গোপাড়া,শিকদারীসহ গ্রামগঞ্জে বাড়ছে চালের দাম। কিন্তু অদৃশ্য কারসাজিতে চালের দাম কমছে না। বরং হু হু করে বেড়েই চলেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, এখন কৃষকদের গোলায় ধান নেই বললেই চলে। কেবল বিক্রির উদ্দেশ্যে যারা মজুদ করেছিলেন তারা ধান বিক্রি করছেন। আর বিপুল পরিমাণ চাল রাইচ মিলের গোদাম ও প্রতিটি পাইকারী দোকানে মজুদ থাকার পরও দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ টাকায়। একই পরিমাণ আঠাশ ও জিরা চাল বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি বস্তা (৫০কেজি) গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকায়।
একই পরিমাণ চিকন স্বর্ণার দাম তিন হাজার ৬৫০ টাকা দরে।পাইকারি বাজারে কেবল এ চার ধরনের চালের আধিক্য রয়েছে। তাহেরপুর পৌর এলাকার (ভ্যানরিক্সা গাড়ি) চালক রফিকুল ইসলাম,মালেক,কাসেম,(ভটভটি লছিমন গাড়ি) চালক জালাল উদ্দিন,হানেম,কুদ্দুস,মালেক ও দিনমজুর শমসের,আলেক,কাজেম,হাবিবুর,লালন,জলিল উদ্দিন,রহমান ও সফিক আপে করে বলেন, দিন দিন চাউলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের মত শ্রমিকেরা মোটা চাউল ক্রয় করাও নাগালের বাহিরে চলে গেছে।
এ ভাবে চালের বাজার অস্থিরতা থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়বে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের অতি জরুরী পদপে নেয়া দরকার বলে তারা মনে করছেন।