বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাজারে হুলস্থূল কাণ্ড চলার মধ্যেই সব ধরণের চালের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
আড়তদার, মিল মালিক কিংবা খুচরো বিক্রেতা- সবাই একবাক্যে বলছেন এ সময়ে এভাবে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারনিজেও বলেছেন যে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।
এমনকি সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে যাতে করে কোনো সংকট তৈরি না হয় সেজন্য অগ্রিম সতর্ক অবস্থান নিয়েছিলো মন্ত্রণালয় ।
বাজারে দামের হেরফের
টিসিবির হিসেবে আজ চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আর নাজির/মিনিকেট সাধারণ মান ৪৮থেকে ৫৩ টাকা; আর উত্তম মানের চাল ৫৩ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আর মোটা চাল অর্থাৎ স্বর্ণা/চায়না/ইরি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
অথচ এক সপ্তাহ আগে এগারই নভেম্বর এই মোটা চাল বিক্রি হয়েছ ২৮ থেকে ৪০ টাকা দরে। এমনকি সরু বা চিকন চাল ছিলো ৪৫ তেকে ৫৬ টাকার মধ্যে।
তবে গত বছর নভেম্বরের এই সময়েও চালের দাম হুট করে বেড়ে গিয়েছিলো।
তারও আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তুমুল শোরগোল শুরু হলে তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী দুজন চালকল নেতার বিরুদ্ধে মজুতদারির অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।