১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • নাগরিক দূর্ভোগ
  • নদীতে পাহাড়ী ঢল এলেই দুইশ মিটার রাস্তার জন্য তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন




নদীতে পাহাড়ী ঢল এলেই দুইশ মিটার রাস্তার জন্য তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : জুন ০৮ ২০২০, ২০:৫৪ | 890 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

তাহিরপুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঠিকাদার এবং এলজিইডির উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে তিন বছরেও শেষ হয়নি দুইশ মিটার এপ্রোচ রাস্তার কাজ।
বর্ষার শুরুতেই তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ রাস্তাটিতে পানি উঠে ডুবে যায়।নদীতে ঢল এলেই তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
 ফলে তাহিরপুর থেকে জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডির দায়সারা নজরদারীর কারণেই এখানকার লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
তাহিরপুর এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ রাস্তার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর রক্তি নদীর ব্রীজের পুর্ব পাশে ২’শ ২৪ মিটার এপ্রোচ সড়ক নির্মানের জন্য ২ কোটি টাকা দরপত্র আহবান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুনামগঞ্জ এলজিইডি অফিস। লটারীতে কাজের ঠিকাদারী পান আমিনুল ইসলাম এন্টাপ্রাইজ নামে একটি টিকাদারী প্রতিষ্টান। কাজ পাওয়ার পর নির্দারিত সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করে ২০১৯ সালে বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসের দিকে কাজ চলমান অবস্থায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীতে বণ্যায় কাজের ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে ২ কোটির টাকার অধিকাংশ টাকাই উত্তোলন করা হয় এবং সেই সঙ্গে নতুন করে রিভাইস করে আরো ১ কোটি টাকা ব্যায়ভার বাড়ানো হয় ২০২০ সালে মার্চ মাসে। কিন্তু অদ্যবদি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। বর্তমানে কয়েকদিন বৃষ্টিতে নদীতে পানি বৃদ্ধি ফলে অরক্ষিত রাস্তাটি আরো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এপ্রোচ সড়ক মেরামত না থাকায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ এখন বিঘ্নিত হচ্ছে।
তাহিরপুর সদরের চিকসা গ্রামের রইছ উদ্দিন জানান, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের মাত্র দুইশ মিটার রাস্তার জন্য যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
তিনি বলেন, রাস্তাটি মেরামত করতে এতোদিন লাগার কথা নয়, ঠিকাধারী প্রতিষ্টান ইচ্ছে করেই এমনটা করছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিনুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার আবুল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর নতুন করে সড়কটির ডিজাইন করা হয়। ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে গত মার্চ মাসে। সে সময় করেনার জন্য লকডাউন থাকায় আমরা কাজটি সময় মতো শুরু করতে পারিনি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানাজি বলেন, অনেকদিন ধরে দেখছি সড়কটি মেরামতের কাজ চলছে, কিন্তু মেরামত আর হচ্ছে না। আমি এ বিষয়ে এলজিইডির উধ্বর্তন কর্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুনামগঞ্জ মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ২০১৯ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর রাস্তাটি নতুন করে ডিজাইন করা হয়। রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেয়েছি। করোনার কারনে যথা সময়ে কাজটি শুরু কারা যায়নি। পানি একটু কমলে কাজটি দ্রুত শুরু করা হবে।
Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

 

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET