রাত পোহালেই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। আগামীকাল ১লা আগস্ট সারা দেশে পালন করা হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এবছর করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালিত হতে যাচ্ছে ঈদ। আর ঈদকে সামনে রেখে দোহারে কদর বাড়তে শুরু করেছে খাটিয়ার। উপজেলার প্রতিটি গরুর হাট আর বিভিন্ন বাজারের কাঠের দোকান ও রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এসব খাটিয়া।
মাঝারি আকৃতির গাছের শেষ ভাগ চাকা চাকা করে কাটা হয় যার পুরত্ব রাখা হয় ১৬ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত। তাকে বলা হয় খাটিয়া। সাধারণত মাংস কাটার সুবিধার জন্যই এটি তৈরি করা হয়। উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় আকার ও মানভেদে ১৫০টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে এসব খাটিয়া। পুরত্ব এবং সাইজ অনুসারে এসবের দাম কম-বেশি হয়। দেশে মাংস কাটার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তেঁতুল, বেল ও সোনালি গাছের খাটিয়া। এছাড়া আম বা কাঠাল গাছের খাটিয়াও বাজারে দেখা যায়। যার মূল্য তুলনামূলক ভাবে কম।
নারিশা বাজারের খাটিয়া ব্যবসায়ী মো. ইসরাফিল বলেন, শুধু কোরবানির ঈদেই মাংস কাটার জন্য খাটিয়া ব্যবহার করা হয়। বছরের অন্য সময়ে খাটিয়ার ব্যবহার নেই বল্লেই চলে। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর খাটিয়ার দাম কিছুটা বেশি, কারণ গতবারের চেয়ে এবছর গাছের দাম অনেক বেশি, আবার মজুরিও বেড়েছে। মূলত গাছের দাম বাড়ার কারণেই খাটিয়ার দাম বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, দাম যাই হোক এসব খাটিয়ার বাজার সারাবছর জমজমাট না থাকলেও কোরবানির সময় কদরটা বেড়ে যায়।
মেঘুলা বাজারে খাটিয়া কিনতে আসা আঃ সাত্তার খান জানান, কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য খাটিয়া লাগবেই। বছরের অন্য সময়ে খাটিয়া কেনা হয় না, শুধু কোরবানির ঈদেই কেনা হয়। এবছর দাম একটু বেশি তারপরেও কিনতে হচ্ছে।