শৈত প্রবাহের ফলে ঘন কুয়াশায় চলতি ইরি মৌসুমের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের। গত আমন মৌসুমে ধানের ভাল ফলন পেলেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় এবার ইরি-বোরো চাষে বুকে একরাশ আশা বেধে বীজতলা তৈরী করেছেন কৃষকেরা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে শৈত প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার ফলে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে ধান চাষীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বীজতলা। প্রকৃতির সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার ফলে শৈত প্রবাহে বীজতলার বোনা বীজগুলো সাদা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের চতুরপুর গ্রামের আব্দুল কাফি বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্রশীত আর ঘন কুয়াশায় অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব বীজতলায় ধানের চারা ইতিপূর্বে একই সময়ে ৪-৬ ইঞ্চি লম্বা তরতাজা করলেও এবার শীতের কবলে কুয়াশার ফলে চারার উপরিভাগ প্রথমে সাদা ও পরে লালচে আকার ধারন করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অনেককেই বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে। তারা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ ব্যবহার করেও রক্ষা করা যাচ্ছেনা বীজতলা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলায় এবার প্রায় ১৬ হাজার হেক্টরের ঊর্ধ্বে জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষে বীজতালা তৈরী হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশায় অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তিনি জানান, বীজতলার চারা রক্ষার জন্য ইউরিয়া ও পঁচাড়ির জন্য ছত্রাকনাশক ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।