সিরাজগঞ্জের কামারকন্দে বন্যা ও বিভিন্ন দুর্যোগ কাঁটিয়ে প্রান্তিক কৃষকরা লাভের আশায় শীত মৌসুমে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। অল্প কয়েকজন কৃষক বিক্রি শুরু করলেও ১০ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই পুরোদমে বিক্রি শুরু করতে পারবে সব কৃষকরা।
যে সব কৃষকের নিজস্ব জমি নেই তারাও অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিট জাতের কপি সহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোন জমি আর পতিত নেই। বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমাহার। উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের নয়া পাড়া, চর- নুরনগর, গারাবাড়ি,বেলাই, ধমচি ও বিয়ারা সহ শত শত কৃষক জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়েছেন।
ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কৃষক নুরনাগর গ্রামের কৃষক আব্দুল সাত্তার, হাসেম আলী ও গারাবাড়ি গ্রামের আব্দুল লতিফ ও কেতারু মামুদ জানান, নানা দুর্যোগ কাঁটিয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফুলকপি-বাঁধাকপি আগাম চাষ করেছি। তারা প্রত্যেকেই কেউ দেড় বিঘা আবার কেউ দুই থেকে তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি লাগিয়েছেন।
তারা আরও জানান প্রতি বিঘা ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ বছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন ও ভাল দাম থাকায় প্রতি বিঘায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। কয়েকদিন পরেই বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
Please follow and like us: