নাজিম হাসান, রাজশাহী থেকে:- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক। একই সঙ্গে এ মামলার অপর তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় তাদেরকে বেকুসর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুশ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। এ মামলায় কুদ্দুশের মা মাসেকা বেওয়াসহ (৫০) আরও তিনজন আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৫ সালের দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাছ আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের (২৪) সঙ্গে কুদ্দুশের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর কুদ্দুশ যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী শামিমাকে নির্যাতন করতেন। ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর কুদ্দুশ তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করেন। এরপর ঘটনাটি তিনি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে আদালতে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করলেন। রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইনজীবী ইসমত আরা। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা। তিনি বলেন, অন্য তিনজন খালাস পাওয়াটা ঠিক আছে। তবে আসামি কুদ্দুশ ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।