২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • সকল সংবাদ
  • রাজশাহীতে নাটকীয়তার পর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা ২৫’প্রচারণায় নামছে আজ




রাজশাহীতে নাটকীয়তার পর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা ২৫’প্রচারণায় নামছে আজ

মোহাম্মদ ইমন মিয়া, বাঙ্গরা,কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ১০ ২০১৮, ১৯:৫২ | 672 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হতে যাচ্ছে আজ সোমবার। প্রার্থীতা বাতিল, মনোনয়ন দাখিল প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত মনোনয়ন দাখিল হয়েছে রোববার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি সোমবার থেকে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণ শুরু করতে পারবেন। ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় প্রচারণার সব ধরনের প্রস্তুতি প্রার্থীরা নিয়েছে। রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনে রোববার আট জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীরা তাদের দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি জমা দেন। ফলে রাজশাহীর ছয়টি আসনে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫ জন প্রার্থী।এসব প্রার্থীদের মধ্যে ৬টি আসনে ৬ জন করে প্রার্থী নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামবে। অন্য প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের প্রচারনায় নামবেন। বহু নাটকীয়তার পর আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ জন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আপিল শুনানি ও প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের প্রার্থীদের কিংবা নিজ দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে কাজ করেছে নানা সমীকরণ ও হিসেব-নিকেশ। অনেকে জোটে থেকেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন নি। অনেকে শেষ সময়ে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এর সঙ্গে রাজশাহীর প্রেক্ষাপটে জোটে রয়েছে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টি। উভয় জোটই রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে চাপে রেখেছিলো। ছিলো নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীও। শেষ পর্যন্ত উভয় দলেই নানা সমীকরণ শেষে রাজশাহী পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ ও একটি আসনে মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হয়েছে। আর বিএনপির প্রতিটি আসনেই একটি করে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু জোট নিয়ে জট এখনো কাটেনি আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় পার্টি দুইটি আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়নি। আর বিএনপির ক্ষেত্রে একটি আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে ছয়টি আসনেই একজন করে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ, মহাজোটের শরীক দল ওয়ার্কার্স পার্টি একটিতে ও জাতীয় পার্টির দুইটি আসনে, বাসদ, সিপিবি, যুক্তফ্রন্ট এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল এমএলএল ও জাকের পার্টি একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপির কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির দুইটি আসনে মহাজোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন না পাওয়া সত্ত্বেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন নি। তবে একটি আসনে বিএনপির একজন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে এনে মনোনয়নপত্র দাখিলের অভিযোগ করেছেন। রাজশাহীর পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সেইসব আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলও করেছিলেন একজন করে প্রার্থীই। আর মহাজোটের শরিক দল হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে দিয়েছিলেন রাজশাহী সদর আসন। তবে সদর আসনে জাতীয় পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান ডালিম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গতকাল তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু মহাজোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন না পাওয়া সত্ত্বেও রাজশাহীর-৫ ও রাজশাহী-৬ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা আবুল হোসেন ও ইকবাল হোসেন। তারা গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন নি। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম আব্দুল কাদের বলেন, জোটগতভাবে যারা নির্বাচন করবেন সেখানে জোটের প্রার্থী হিসেবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তিনি বাদে অন্যরা অটোমেটিকেলি বাতিল হয়ে যাবে। তবে কোনো আসনে যদি জোটগতভাবে নির্বাচন না করে সেক্ষেত্রে জোটের প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এছাড়া রাজশাহীর ৩ ও ৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সাংসদ মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ও তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। গতকাল তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর মেরাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ভেবেছিলাম দলের সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। সেহেতু দলের সিদ্ধান্তের কথা বিবেচনা করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলাম। তবে বিএনপির মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে গতকাল নানা নাটকীয়তার জন্ম হয়। বিশেষ করে রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে তৈরি হয় টান টান উত্তেজনা। দুপুরেই বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল। বিকেল ৪টার দিকে নজরুল ইসলাম মন্ডলের মনোনয়নপত্র বাতিল উল্লেখ করে চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেন নাদিম মোস্তফা। পরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই আসন থেকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। তবে নজরুল ইসলাম মন্ডল নাদিম মোস্তফার মনোনয়পত্রকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি গতকাল রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, নাদিম মোস্তফার মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আর নিবন্ধনহীন জামায়াত রাজশাহী-১ ও রাজশাহী-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের উভয়েরই মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে আপিল শুনানিতে রাজশাহী-১ এর প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়। কিন্তু গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিটি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার পর বিএনপির অন্য প্রার্থী অটোমেটেক্যালি বাদ পড়ে যাবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

 

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET