জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- মালদ্বীপের লাইফের প্রথম ব্রীজ চায়না সরকারের অনুদানে হয়েছে আর সেই ব্রীজটি উদ্বোধন করেছেন গতকাল চায়না সরকার ও মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল কাইয়ুম, মালদ্বীপের রাজধানী টু এয়ারপোর্টের ব্রীজ উদ্বোধন করতে গিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট,মালদ্বীপের প্রায় ৩৭০ টি দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ রাষ্ট্রটি গঠিত জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৮৫ হাজার সকলেই মুসলিম মালদ্বীভিয়ান জাতিকে দিবাহি জাতি হিসেবে বলা হয়,এই দেশে কোন বিধর্মী মানুষ নেই সবাই মুসলিম, মালদ্বীপে ৩৭০ টি দ্বীপ সবগুলোই পৃথক পৃথক সাগরের মাঝে অবস্থিত! এই প্রথমে মালদ্বীপের ইতিহাসে মালদ্বীপের রাজধানী থেকে এয়ারপোর্টের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, চায়না সরকারের সহায়তায়, সেই ব্রীজটি তৈরি করেছেন, গতকাল ব্রীজটি উদ্বোধন করতে চায়নার সরকার মালদ্বীপে গিয়েছেন, যদিও ব্রীজটি উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল সন্ধ্যা!গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলে – অনুষ্ঠান চলাকালে বর্তমান সরকার দলীয় সকল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ও মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও চীনের প্রেসিডেন্ট এই ব্রিজটি উদ্বোধন করেন!
মালদ্বীপের লাইফে এই প্রথম চীন ও মালদ্বীপের বন্ধুত্বের মাঝে এই সেতুটি গড়ে উঠেছে তাই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ” চীনা মালে – তার মানে মালদ্বীপ ও চীন বুঝায়, সেতুটির সামনে সাইনবোর্ড লাগানো আছে” চীনা মালে নামের, সেতুটি অনুদান সহায়তার জন্য ১২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রাষ্ট্রীয় বাজেট থেকে ১২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাথে অনুদান ঋণ প্রদান করা হয়েছিল। ওভার ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১.৩৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থ বিস্তৃত হবে ২০ মিটার। সেতুটির কাজ এখনো পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি, সেতুটি উদ্বোধন করার মালদ্বীপ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো আগামী ২৩ তারিখে মালদ্বীপ দেশটিতে নির্বাচন তাই সেতুটিকে গতকালকেই উদ্বোধন করে ফেলেছেন মালদ্বীপের বর্তমান সরকার! সেতুটির এখনো কিছু ফিনিশিং এর কাজ বাকি রয়েছে আগামী ৭ ই সেপ্টেম্বর সেতুটিকে জনসাধারণ চলাচলের জন্য একেবারে খুলে দেওয়া হবে বলে মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামি আবদুল গাইয়ুম জানিয়েছেন তিনি আরো জানিয়েছেন যে বর্তমান সরকারের অর্থ প্রয়োগে ব্রীজটি তৈরি হয়েছে তাই এই সরকার ব্রীজটিকে উদ্বোধন করেছেন।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল কাইয়ুম চায়নার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে চায়না সরকার যদি সহায়তা না দিতেন তাইলে হয়তোবা এতো বড় প্রজেক্ট এর কাজটি করা সম্ভব হতো না আর মালদ্বীপের ইতিহাসের পাতায় এই প্রথম এই ব্রীজটি তৈরি হয়েছে সেইজন্য তিনি চায়নার সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এই ব্রীজটি হওয়াতে মালদ্বীপ সিটি শহরটি এখন অনেক বড় রূপে রূপান্তরিত হয়েছে। কারণ মালদ্বীপের রাজধানী মালে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাউন্ড এরিয়া এতে কয়েক লক্ষ মানুষ বসবাস করেন তাই অনেক চলাচলে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, এখন সেতুটি হওয়াতে এয়ারপোর্ট মালদ্বীপের রাজধানী মালে ও হুলহুমালে নিয়ে মালদ্বীপ সিটিটি অনেক বড়য়ে রূপে রূপান্তরিত হয়েছে। মালদ্বীপ দেশটি এখন ট্যুরিঝস্ম ব্যবসা করতে অনেক সুবিধা হবে বলে আশা রাখছেন মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল কাইয়ুম! তবে হ্যাঁ একটি কথা না বললেই নয় ব্রীজটির সৌন্দর্য তা এতটাই সুন্দর হয়েছে যা কিনা মানুষের চোখে তাগ লাগিয়ে রাখে।