এন.এইচ.নাহিদ !! কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি জবর দখল করে ধান কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে ভেড়ামারা মোকারিমপুর ইউপি’র বরইচরা মাঠে মৃত অজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে অরবিন্দু বিশ্বাস, অসিত বিশ্বাস ও বিশ্বজিত বিশ্বাস (ওয়ারেস সূত্রে প্রাপ্ত) এর দখলীয় সম্পতিতে জোরপূর্বক ধান কর্তন করেছে সাতবাড়ীয়া গোহাটপাড়া গ্রামের ইয়াদ আলী শাহ এর পূত্র আমিনুল শাহ, মৃত ফকির শাহ এর পূত্র আছাব আলী শাহ, পচা শাহ এর পূত্র মশাদ শাহ, মতিয়ার শাহ এর পূত্র মনিরুল শাহ, ক্ষেমিরদিয়াড় বিশ্বাসপাড়া গ্রামের বাহার মেম্বার এর পূত্র সুমন আলী, আবুল সর্দারের পূত্র মাহাবুল সর্দার, ফারুকের পূত্র ঐশি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ভূমির মালিকদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে গোষ্ঠিগত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইনের কোনরূপ শৃঙ্খলা তোয়াক্কা না করে ৯০ শতক জমির ধান জোর পূর্বক কেটে নিয়ে গেছে। ভূমির মালিক শ্রী অরবিন্দু বিশ্বাস এলাকার প্রধান ও প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটে যাওয়ার ঘটনায় বর্তমানে শ্রী অরবিন্দু বিশ্বাস ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার মোকারিমপুর মৌজার খতিয়ান (আর.এস) ২৪, আর.এস ১০১৯৫ দাগের ৯০ শতক ধানী জমি অজিত কুমার বিশ্বাস ও শৈলবালা বিশ্বাস এর নামে প্রচলিত আছে। সম্পত্তির মালিকগন মারা গেলে তদস্থলে অরবিন্দু বিশ্বাস, অসিত বিশ্বাসও বিশ্বজিত বিশ্বাস ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হন। উক্ত জমি নিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর (১৯৯১–২০১৭) মামলা চলমান ছিল এবং উক্ত মামলাটি এই নিয়ে তিন তিন বার খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত। তার পরেও ইয়াদ আলীর পূত্র আমিনুল শাহ ও তার লাঠিয়াল বাহিনীদের পরাক্রমশীল মনোভাব কমেনি। আমিনুল শাহ একজন কুষ্টিয়া সহকারী জজ ও কুষ্টিয়া যুদ্ম জেলা জজ এর প্রমানিত ভূমি জালিয়াতকারী।
শ্রী অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, আমি গত ০৫/০৯/২০১৮ ইং তারিখে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ববাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। অতীতের দরখাস্তের পরও গতকাল সোমবার আমি ইউএনও স্যারকে ধান কাটার বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। শ্রী অরবিন্দু বিশ্বাস আমার অফিসে এসেছিলেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে জানতে আমিনুল শাহ এর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে কল দিলে, তার পূত্রবধু কল রিসিভ করে জানাই আব্বা বাড়িতে নেই। এ বিষয়ে বাহার মেম্বারের পূত্র সুমন আলীকে মুঠোফোনের মাধ্যমে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তিনি সহ তাহার সম্প্রদায় ঐসকল ভূমিদুস্য দানবদের হাত থেকে সামাজিক ও প্রশাসনিক ভাবে রেহাই পেতে সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন সংখ্যালঘু শ্রী অরবিন্দু বিশ্বাস ও তার পরিবার।