মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ঢাকা প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, অনেকই হয়তো প্রার্থী হবেন, কৃষক লীগের ভালো প্রার্থীরাও মনোনয়ন পাবেন। জাতীয় নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে আমাদের সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের লাগবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম না করলে আমরা কিছুতেই সুফল ঘরে তুলতে পারবো না। আমাদের নির্বাচনী কৌশল একটাই, তা হলো মানুষের মনজয় করা। আমাদের ভালো কাজগুলো তুলে ধরা। আমরা শত্রুর সমালোচনা করবোই, তার আগে আমাদের নিজের ভালোগুলো তুলে ধরবো- বলেন এইচ টি ইমাম।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কোনো এমপি যদি খারাপ হয়ে থাকে, সেটা বলার সময় এখন না। প্রার্থীতা পাওয়ার জন্য দলের আরেকজনকে খারাপ বলা ঠিক হবে না। এতে আমাদের শত্রুরা বলবে, তোমরা নিজেরাই বলছো তোমাদের লোকগুলো খারাপ।
এ সময় তিনি কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দেরকে দলের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রোজ শনিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকা ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনউতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দলের ওপর আস্থা রাখুন। নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখুন। নিজেদের মধ্যে আত্মসমালোচনা করুন। ঐ এমপি’র আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি বলার মানে হলো আওয়ামী লীগের আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এগুলো বাদ দিয়ে একত্র হয়ে দল গঠন করে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমরা অবশ্যই উত্তরে যাব। এই বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস এবং প্রত্যয় থাকতে হবে যে- বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচন আমাদের বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা, এখানে আমরা যদি কোনোভাবে ব্যর্থ হই এবং পিছলে পড়ি, তাহলে স্বাধীনতার শত্রুরা পাকিস্তান ও তাদের দোসরদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) শুধু যে নিশ্চিহ্ন হবো তাই নয়, এই উন্নয়ন থাকবে না, দেশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হবে। তাই আমাদের ভোট যুদ্ধে বিজয় লাভ করতে হবে, বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয়েছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ওপর। আমাদের ওপরই বারবার আক্রমণ হয়েছে। আমরা কারও ওপর আক্রমণ করিনি। তরুণ প্রজন্মের সামনে আমি বাংলাদেশের কথা, দেশপ্রেমের কথা, বীরত্বের কথা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- তাতে তারা সামিল হবে কি না, জাতীয় সঙ্গীত গাইবে কি না এসব কিছু আমি তাদের মনে গেঁথে দিতে চাই।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, আতিকুল ইসলাম আতিক, কৃষিবিদ আলহাজ্ব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, গাজী জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু’সহ আরো অনেকে। এ সময উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর-উত্তর, কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাকসুদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম খান এবং ঢাকা মহানগর-দক্ষিন কৃষক লীগ’সহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দে।